একদিকে লকডাউন অন‍্যদিকে ইয়াস এর প্রভাব : মাথায় হাত ফুলচাষীদের

29th May 2021 5:19 pm বাঁকুড়া
একদিকে লকডাউন অন‍্যদিকে ইয়াস এর প্রভাব : মাথায় হাত ফুলচাষীদের


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : করোনা আর ঘূর্ণিঝড় 'ইয়াসে'র প্রভাবে বৃষ্টি, এই দুইয়ের গ্যারোয় পড়ে চরম আর্থিক ক্ষতির মুখের বিষ্ণুপুরের পানর ডাঙ্গর এবং বড়জোড়ার ও পাত্রসায়েরের ফুলচাষীরা । ঐ জায়গার বিঘার পর বিঘা গাঁদা ফুল নষ্ট হতে চলেছে । এই সমস্ত জায়গায় ফুল চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেন একটা বড় অংশের মানুষ । কিন্তু চলতি বছরে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারী বিধিনিষেধের জেরে অঘোষিত লক ডাউনে উৎসব অনুষ্ঠান আয়োজনেও ভাঁটা পড়েছে । ফলে বাজারে ফুলের চাহিদা নেই বললেই চলে । অন্যদিকে 'ইয়াসে'র জেরে প্রবল বৃষ্টিপাতে প্রচুর পরিমানে উৎপাদিত ফুল নষ্ট হয়ে গেল ! সবমিলিয়ে দূর্বীষহ অবস্থা এখানকার গাঁদা ফুল চাষীদের ।

 ফুল চাষী ভৈরব চন্দ্র হাত, কার্তিক যোগীরা বলেন, রাতের বৃষ্টি ফুল একদম সহস্য করতে পারেনা । আর এই ইয়াসজনিত বৃষ্টিতে এলাকার প্রায় ১৫০ বিঘা জমির ফুল পুরো নষ্ট হয়েছে । আগে যেখানে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে ফুল বিক্রি হতো, এখন সেখানে কেজি প্রতি ১০ টাকাতেও বিক্রি হচ্ছেনা বলে তারা জানান ।
পাত্রসায়ের এক ফুল চাষী প্রিয় বালা বিশ্বাস জানান ছেলে বউ নাতি নাতনীদের নিয়ে সংসার ভাগে জমি নিয়ে ফুল চাষ করেছি সব নষ্ট হয়ে গেছে এরপর কিভাবে সংসার চালাবো সরকার কোনরকম সাহায্য না করলে হয়তো আগামীতে চলতে পারব না ।
বাঁকুড়া জেলায় মোট প্রায় পাঁচশো বিঘার মতো গাঁদা ফুল গাছ ইয়াস জনিত কারণে নষ্ট হয়ে গেছে।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।